এক ফার্মেসীতেই ৩৩ ধরনের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রীর আর আই ফার্মা নামের একটি ফার্মেসীতে ডায়াবেটিস রোগীদের ব্যবহৃত ইনসুলিন, এন্টিবায়োটিক, নেবুলাইজারসহ ৩৩ ধরনের মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ বনশ্রীর মেরাদিয়া বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান ও সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল।

ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানের খবরে দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায় আর আই ফার্মা। পরে দোকানে তালা লাগিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে চায় ভোক্তা অধিদপ্তর। এমন খবরে ছুটে আসে ফার্মেসীর কর্মকর্তারা। পরে তালা খুলে তদারকি করে দেখা যায়, দোকান ভর্তি মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ। ভোক্তা কর্মকর্তা যে তাকেই হাত দেন সেখানে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া যায়। মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিটে ৩৩ বক্স মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া যায়।

ভোক্তাবিরোধী এমন অপরাধে এই প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একইসঙ্গে জনস্বার্থে আগামী তিন দিন দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এই তিন দিন দোকানের সমস্ত মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বের করে আলাদা করবে। পরে দোকান খুলবে।

এছাড়া পাশের জে এম সি মেডিসিন কর্ণারেও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া যায়। এই প্রতিষ্ঠানকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এর আগে মেরাদিয়া বাজারে গরুর মাংসের দাম ৬৫০ টাকার বেশি নেওয়া এবং মূল্য তালিকা না থাকায় ব্যবসায়ীকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

প্রিয়া বেকারী নামের একটি প্রতিষ্ঠানে মেয়াদোত্তীর্ণ কেক এবং বিস্কুট পাওয়া যায়। এছাড়া আরও বিভিন্ন অপরাধে এই বেকারীকে জনস্বার্থে বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

অভিযানের বিষয়ে আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে আজ মেরাদিয়া বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এখানে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং একটি প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ফার্মেসী মালিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রায় প্রতিটি ফার্মেসীতে তিন থেকে চার জন কর্মকর্তা থাকেন। তারা দিনের ১২ থেকে ১৩ ঘণ্টা দোকানে অবস্থান করেন। অথচ আমরা মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিটে আর আই ফার্মা থেকে ৩৩ বক্স মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বের করলাম। তাহলে যারা দায়িত্বে থাকেন তারা কি করেন? এটা আমাদের প্রশ্ন। ফার্মেসী মালিকদের প্রতি উদাত্ব আহ্বান জানাবো, আপনাদের যারা স্টাফ রয়েছেন তাদের প্রতি নির্দেশনা জারি করুন। যেন অবসর সময়ে স্টাফরা মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ খুঁজে বের আলাদা করে একটা বক্সে রেখে দেন। এবং সেই বক্সে লিখে দিতে হবে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, বিক্রির জন্য নয়।